স্টাফ রিপোর্টার ॥ শহরে মামলা করে স্ত্রী সন্তানকে কাছে না পাওয়ার ক্ষোভে আদালত চত্তরেই ছুরিকাঘাতে হাফিজুর রহমান নামে এক স্বামীর আত্মহত্যার ঘটনায় অবশেষে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন হাফিজুর রহমানের মা নাছিমা আক্তার। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে হবিগঞ্জ সদর থানার ওসিকে তদন্তপুর্বক প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন। মামলায় হাফিজুর রহমানের স্ত্রী বুশরা বেগম ও বানিয়াচং উপজেলার কাগাউড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ সৈকত আরফিন সেলিমসহ ১২ জনকে আসামী করা হয়ছে। মৃত হাফিজুর রহমান হবিগঞ্জ শহরতলীর সুলতান মাহমুদপুর গ্রামের নুর মিয়ার ছেলে। সূত্রে জানায়, হাফিজুর রহমানের মা নাছিমা আক্তার তার ছেলেকে আত্মহত্যা করতে আসামীরা প্ররোচনা দেয়ায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, বুশরা বেগমের সাথে বানিয়াচং উপজেলার কাগাউড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ সৈকত আরফিন সেলিমের পরকিয়া সম্পর্ক ছিল। এতে হাফিজুর রহমান তার স্ত্রী বুশরাকে বাধা দিলে সে তাকে আত্মহত্যা করে মরে যাওয়ার জন্য বলত। যার কল রেকর্ড রয়েছে। শুধু তাই নয় হাফিজুর রহমানের ১১ মাস বয়সী ছেলে সন্তানের নামও তার প্রেমিক ইউপি চেয়ারম্যান শাহ সৈকত আরফিন সেলিমের নামের সাথে মিল রেখে মিনহাজুর রহমান আরফিন রাখে। হাফিজুর রহমান তার স্ত্রী সন্তানকে কাছে পেতে সম্প্রতি হবিগঞ্জের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এ একটি ১০০ ধারায় মামলা করে। গত ১৪ ডিসেম্বর আদালতে মামলার শুণাণি হলে বুশরা বেগম স্বামীর জিম্মায় যেতে অস্বীকার করে। পরে তাকে তার মায়ের জিম্মায় দেয়া হয়। আদালতের বাহিরে এসে হাফিজুর তার ছেলেকে কোলে নিতে চাইলে বুশরা তার সাথে দুর্ব্যবহার করে এবং আত্মহত্যা করে মর বলে তাড়িয়ে দেয়। আর এতেই ক্ষোভে অপমানে আদালত প্রাঙ্গণেই নিজ বুকে ছুকিকাঘাত করে আত্মহত্যা করে। মামলায় বুশরার পরিবারসহ ১২ জনকে আসামী করা হয়েছে। বুশরা বানিয়াচং উপজেলার খাগাউড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের কন্যা।
Leave a Reply