February 27, 2021, 12:37 pm
স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাহুবল উপজেলার মিরপুরে প্রশাসনের দেয়া সিলগালা ভেঙ্গে দিয়েছে ‘জিসান বাংলা’ নামক একটি বেকারী। শুধু তাই নয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশনার প্রতিও দেখাচ্ছে বৃদ্ধাংগুলী। এমন দুঃসাহসে হতবাক এলাকাবাসী। এ অবস্থায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, জিসান বাংলার মালিকের খুঁটির জোর কোথায়? জানা যায়, বাহুবল উপজেলার মিরপুর বাজারের ইউনিয়ন পরিষদ সড়ক সংলগ্ন আবাসিক এলাকায় ‘জিসান বাংলা বেকারী’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছেন মশিউর আলম নামে এক ব্যক্তি। বি.এস.টি.আই এর লাইসেন্স না থাকা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে গত ২৭ অক্টোবর ১ লাখ টাকা জরিমানাসহ বেকারীটি সিলগালা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। কিন্তু কয়েকদিন পরেই প্রশাসনের দেয়া সিলগালা ভেঙ্গে আগের মতই পণ্য উৎপাদন শুরু করে ওই বেকারী। পরে এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এলাকাবাসী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাহুবলের সহকারী কমিশনার (ভুমি)কে তদন্তের দায়িত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। সূত্র জানায়, দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পান মিরপুর ইউনিয়নের তহশিলদার মোঃ নুর আলী। তিনি ইতিমধ্যেই তদন্ত রিপোর্ট সহকারী কমিশনার (ভুমি) এর দপ্তরে প্রেরণ করেছেন। সূত্রমতে, বেশ কয়েকমাস আগেও একই অভিযোগে জিসান বাংলা বেকারীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও পরিবেশ ছাড়পত্র নবায়ন না করে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার অভিযোগে গত ২৫ নভেম্বর কারণ দর্শানো নোটিশ করে পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়। নোটিশে বলা হয়, ‘৬ ডিসেম্বর শুনানীতে হাজির হয়ে অভিযোগের ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ কিন্তু উল্লেখিত দিনে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মশিউর আলম উপরোক্ত কার্যালয়ে হাজির হয়ে কোনরকম ব্যাখ্যা প্রদান না করেই দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছেন খাদ্যপণ্য উৎপাদন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসন (ভ্রাম্যমান আদালত) ও পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করা জিসান বাংলা বেকারীর মালিক মশিউর আলমের খুঁটির জোর কোথায়? মশিউরের এহেন কর্মকান্ডে হতবাক তারা। জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ¯িœগ্ধা তালুকদার বলেন, ‘তদন্ত রিপোর্ট এখনো আমার হাতে এসে পৌছায়নি। হয়তো সহকারী কমিশনার (ভুমি) এর দপ্তরে আছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
Leave a Reply